নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়-হেলাল হাফিজ  

প্রকাশ করেছেন নকীব -শিরোনাম:

 এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
মিছিলের সব হাত
কন্ঠ
পা এক নয় ।
সেখানে সংসারী থাকে, সংসার বিরাগী থাকে,
কেউ আসে রাজপথে সাজাতে সংসার ।
কেউ আসে জ্বালিয়ে বা জ্বালাতে সংসার
শাশ্বত শান্তির যারা তারাও যুদ্ধে আসে
অবশ্য আসতে হয় মাঝে মধ্যে
অস্তিত্বের প্রগাঢ় আহ্বানে,
কেউ আবার যুদ্ধবাজ হয়ে যায় মোহরের প্রিয় প্রলোভনে
কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয় ।

যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান
তাই হয়ে যান
উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায় ।

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় । 

(পুরোটা পড়ুন...)

তাঁর চোখ বাঁধা হলো।
বুটের প্রথম লাথি রক্তাক্ত করলো তার মুখ।
থ্যাতলানো ঠোঁটজোড়া লালা-রক্তে একাকার হলো,
জিভ নাড়তেই দুটো ভাঙা দাঁত ঝরে পড়লো কংক্রিটে।
মা…..মাগো….. চেঁচিয়ে উঠলো সে।

পাঁচশো পঞ্চান্ন মার্কা আধ-খাওয়া একটা সিগারেট
প্রথমে স্পর্শ করলো তার বুক।
পোড়া মাংসের উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো ঘরের বাতাসে।
জ্বলন্ত সিগারেটের স্পর্শ
তার দেহে টসটসে আঙুরের মতো ফোস্কা তুলতে লাগলো।

দ্বিতীয় লাথিতে ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে গেলো দেহ,
এবার সে চিৎকার করতে পারলো না।

তাকে চিৎ করা হলো।
পেটের ওপর উঠে এলো দু’জোড়া বুট, কালো ও কর্কশ।
কারণ সে তার পাকস্থলির কষ্টের কথা বলেছিলো,
বলেছিলো অনাহার ও ক্ষুধার কথা।

সে তার দেহের বস্ত্রহীনতার কথা বলেছিলো-
বুঝি সে-কারণে
ফর ফর করে টেনে ছিঁড়ে নেয়া হলো তার সার্ট।
প্যান্ট খোলা হলো। সে এখন বিবস্ত্র, বীভৎস।

তার দুটো হাত-
মুষ্টিবদ্ধ যে-হাত মিছিলে পতাকার মতো উড়েছে সক্রোধে,
যে-হাতে সে পোস্টার সেঁটেছে, বিলিয়েছে লিফলেট,
লোহার হাতুড়ি দিয়ে সেই হাত ভাঙা হলো।
সেই জীবন্ত হাত, জীবন্ত মানুষের হাত।

তার দশটি আঙুল-
যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে মার মুখ, ভায়ের শরীর,
প্রেয়সীর চিবুকের তিল।
যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে সাম্যমন্ত্রে দীক্ষিত সাথীর হাত,
স্বপ্নবান হাতিয়ার,
বাটখারা দিয়ে সে-আঙুল পেষা হলো।
সেই জীবন্ত আঙুল, মানুষের জীবন্ত উপমা।
লোহার সাঁড়াশি দিয়ে,
একটি একটি করে উপড়ে নেয়া হলো তার নির্দোষ নখগুলো।
কী চমৎকার লাল রক্তের রঙ।

সে এখন মৃত।
তার শরীর ঘিরে থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়ার মতো
ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত, তাজা লাল রক্ত।

তার থ্যাতলানো একখানা হাত
পড়ে আছে এদেশের মানচিত্রের ওপর,
আর সে হাত থেকে ঝরে পড়ছে রক্তের দুর্বিনীত লাভা-
(পুরোটা পড়ুন...)

হাইনের কবিতা- যখন বিচ্ছেদ ঘটে  

প্রকাশ করেছেন নকীব -শিরোনাম:

হাইনের কবিতা- যখন বিচ্ছেদ ঘটে



যখন বিচ্ছেদ ঘটে দু জনের, যারা ভালবাসে
কথা বলে তারা, যেমন প্রিয়ার সঙ্গে প্রিয়,
হাত ধ'রে রাখে এবং একটু কাঁদে,
দীর্ষশ্বাস ফেলে-শেষ হীন স্মরণীয়।

আমরা কাঁদিনি , হে আমার প্রিয়তমা,
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলিনি আমরা 'কেনো আজো প্রাণ আছে.....'
অশ্রু, এবং দীর্ষশ্বাস আর যন্ত্রণা
এসেছিলো পরে-শুধুই আমার কাছে।

অনুবাদ-হুমায়ুন আযাদ (পুরোটা পড়ুন...)

মূল লেখার জন্য ক্লিক করুন

সামহয়্যারইন ব্লগে প্রকাশিত by বিষাক্ত মানুষ

Trzy słowa najdziwniejsze

Kiedy wymawiam słowo Przyszłość,
pierwsza sylaba odchodzi już do przeszłości.
Kiedy wymawiam słowo Cisza,
niszczę ją.
Kiedy wymawiam słowo Nic,
stwarzam coś, co nie mieści się w żadnym niebycie.


- Wisława Szymborska

তিনটি অদ্ভুতুরে শব্দ

যখন আমি 'ভবিষ্যৎ' শব্দটি উচ্চারন করি
প্রথম অক্ষরটি ইতিমধ্যে অতীত হয়ে যায়
যখন আমি 'নিস্তব্ধতা' শব্দটি উচ্চারন করি
আমি (নিস্তব্ধতা) ভেঙে চুরমার করে দেই
যখন আমি 'শূন্যতা' শব্দটি উচ্চারন করি
এমন কিছু তৈরি হয় যা অস্তিত্বরক্ষকরা ছুঁতে পারে না। (পুরোটা পড়ুন...)

লজ্জাবতী প্রিয়তমাকে  

প্রকাশ করেছেন নকীব -শিরোনাম: ,

ভূমিকা ও অনুবাদ: সুরেশ রণ্জ্ঞন বসাক
সপ্তদশ শতকের লিখিত পাঁচটি শ্রেষ্ঠ কবিতা বেছে নিতে হয় তবে অবধারিতভাবেই এন্ডু মার্ভেলের টু হিজ কয় মিসট্রেস কে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। টু হিজ কয় মিসট্রেস মূখ্যত প্রনয়ের কবিতা। এর জৈবগন্ধটুকু বাদ দিলে অনায়াসে আমাদের রবীন্দ্রনাথের কবিতার স্বগোত্রীয় ভাবা যায়। তিনশোরও বেশি বছর ধরে এ কবিতা অব্যাহত গঠন-পাঠনে প্রাচীন হয় নি। পুরোনো হয নি এর বাণী ও প্রকাশের ঐশ্বর্য।

লজ্জাবতী প্রিয়তমাকে

আমাদের থাকতো যদি অনিঃশেষ পরিসর ও অনন্ত সময়
তোমার এ লজ্জা, প্রিয়া, হতো না কিছুতেই দোষের বিষয়।
দু'জনে বসে বসে ভেবে ভেবে করতাম ঠিক
কিভাবে কাটাবো দীর্ঘ দিবস আর যাবো কোন্ দিক।
সুদূর ভারতে তুমি গঙ্গার তীরে তীরে হেঁটে
মুক্তো কুড়োতে যদি, হামবুরের থৈ থৈ তটে
আমি একা হতভাগ্য হাপিত্যেশে কাটাতাম দিন।
তবু বলি, তোমার জন্য আমার প্রেম অমলিন।
নুহের বন্যার আগে বছর দশেকেরও যদি হয়
তোমাকে বাসিবো ভালো, জেনো নিশ্চয়;
যদি চাও অস্বীকার করে যেও যতদিন খুশী
যদ্দিন ইহুদীরা ভিন্ন ধর্মে না হচ্ছে বিশ্বাসী।
আমার সবুজ প্রেম, সাম্রাজ্য কোন ছার, ঢের বৃহত্তর
এ প্রেম ক্রমশঃ বাড়ে, গাঢ় হয়, হোক না মন্থর।
কপালের রুপ দেখে, বন্দনা করে তোমার দু'চোখ ডাগর
জেনো বন্ধু, নির্ঘাৎ কাটাতে পারি একশো বছর।
আরো শ'দুয়েক বছর না হয় কাটিয়ে দিলাম স্তন বন্দনায়;
তিরিশ হাজার বছর অবশিষ্ট দেহ বর্ণানায়।
প্রতিটি অঙ্গের স্তবে বরাদ্দ করেছি প্রিয়া এক যুগ সময়
শেষ যুগে এসে যদি উন্মুক্ত করো তোমার পাষাণ হৃদয়।
এ সম্মান তোমারই প্রাপ্য- সব স্তব প্রশংসাকীর্ত্তন
তোমাকে যে ভালোবাসে তার কি হওয়া সাজে স্তুতিতে কৃপন।

কিন্তু প্রিয়ে, আমার পশ্চাতে যে নিত্যদিন শুনি
কালের ডানাওয়ালা রথচক্রের ধাবমান ধ্বনি।
যতোদূর চোখ যায় চেয়ে দেখো নিস্তব্ধ নিথর
শুয়ে আছে মহাকাল ঠিক যেন বালুকাপ্রান্তর।
তোমার এ রূপ প্রিয়ে থাকিবে না জেনো চিরকাল
মর্মর সমাধিতলে যখন ঘুমাবে তুমি, রূপের কাঙাল।
আমার প্রেমের গান পৌছাবে না তোমার কবর
সযত্নে রক্ষিত সব সতীপনা খেয়ে নেবে পোকা ও মাকড়।
তোমার মেকি আব্রু ,হায় নারী, ধুলো হবে সার
আমার কাম ও প্রেম জ্বলে পুড়ে হবে অঙ্গার।
কবর বড়োই স্নিগ্ধ, নিঃসন্দেহে বড়ো নিড়িবিলি,
তাই বলে কোন্ প্রিয় সেখানে প্রিয়াকে তার, করে কোলাকুলি?

অতএব যখন রয়েছে দেহে ঢলো ঢলো যৌবনমদির
সোনালী রুপালী রঙ ত্বক ছোঁয় ভোরের শিশির,
যখন তোমার প্রাণ কোষের প্রতিটি রন্ধ্রে ধরে
জাগ্রত কামনায় প্রতি মুহূর্তকে তোলে ভরে
এই তো মাহেন্দ্রসময়, দু'জনেই ভালোবাসা গড়ি
বিশ্ব জানিয়া রাখুক, প্রেমবিদ্ধ আমরা দুই শুক ও সারী।
সময় খাবে তো খাক্, দুঃখ নেই, সেই ঢের ভালো
তিলে তিলে অগস্ত্য যাত্রার কোন মানে আছে বলো?
চলো তবে আমাদের যা কিছু আছে সুন্দর শার্দুল
মিলেমিশে একাকার ব্রক্ষ্মান্ডে গড়িয়ে যাবো গোলক বর্তুল
লৌহ দড়জা খুলে জীবনের পথচলা করিয়াছি স্হির
কঠিন আঘাত হেনে চূর্ণবিচূর্ণ করবো আনন্দ শরীর,
কারো সাধ্যি নেই সূর্যকে থামিয়ে দেই দূরের আকাশে
নিশ্চয় ঘোরাতে পারি আমাদের গ্রহ পথে, সেটা কম কিসে।
(পুরোটা পড়ুন...)

একফাঁলি চাঁদ ধরবো বলে  

প্রকাশ করেছেন নকীব -শিরোনাম:

মেঠোপথের সেই একফাঁলি চাঁদ ধরবো বলে,
খদ্দরের মোটা চাদরটি পড়ে বেড়িয়েছিলাম।
নিশুতি রাত অন্ধকারের আলোয়,
হিমে ভরা জোসনা,
ভেজা কুয়াশার মাঝে একে দেয় অনর্ব আকিঁবুকি।
নিশাচর কোন পাখীর করুন স্বর-
প্রিয়তমার জন্য কাঁদে।
বাঁশবনের ফাঁকে ফাঁকে বাতাসের গোঙানী,
অলস মেঘের আড়ালে একফাঁলি চাঁদটাকে ধরবো বলে,
আস্তিন গুটিয়ে বেড়িয়েছিলাম।

চারদিকে ছায়া নির্ঘুম,
অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে
হেমলক লতায় জড়ায় নিশাচর কুহক-
আটকে পড়ে যেন-
আলগ্ন সপ্তর্ষী বেদনায় নীল।
বিস্তীর্ন ফসলের মাঝে লুকিয়ে থাকে বৈরাগ-
অশরীরির মতো অশ্বথের পাতায় শিশির জমে থাকে
ঝড়ে যাবার অপেক্ষায়।

মেঘ যেমন চাঁদকে ঢেকে রাখে,
বস্তুও তেমনি আমাকে।
(পুরোটা পড়ুন...)

ঐ দিকে তাকাও.........  

প্রকাশ করেছেন নকীব -শিরোনাম:

ঐ দিকে তাকাও সুন্দরী প্রিয়তমা,
ঐ বৃক্ষের পাশে ,
কেমন নোংরা-রুক্ষ বালিকা তোমার দিকে চেয়ে আছে
উজ্জ্বল বড় বড় চোখে -
লোভী অথচ করুণ ,নিস্পলক ।
তার তামাটে সরু পা-গুলি, ঘা-অলা,
চোখের কোনায় শুকিয়ে থাকা জল,পিচুটি,
লম্বাটে মুখ,চেরা সিঁথি আর
শীর্ণ দেহ নিয়ে সে লুকিয়ে আছে লজ্জায়-
জামাটি তার ছোট এবং ছেঁড়া বলে।

কাগুজে গ্লাসটি রেখে দাও ,প্রিয়তমা।
আজ তোমাকে কতই না চমৎকার লাগছে!
দেখো, ফকিরনী মেয়েটির ঠোঁটে লালসা,
তোমার এলোমেলো করে রাখা
আধখাওয়া চিকেন ব্রোষ্ট-
সিমেন্টের মেঝেতে আচঁড় কাটছে সে
ক্ষুধাতুর অস্থিরতায়।
নোলা বাড়িয়ে সে অপেক্ষা করছে
কখন গিলবে সে তোমার ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট
পৃথিবীর সব গ্রন্থীল অনাচার।
আসলে ওর ঘুমপারানী গান তো আমাদের
ছুড়ে দেয়া কুকুরের হাড়।
(পুরোটা পড়ুন...)