ঐ দিকে তাকাও সুন্দরী প্রিয়তমা,
ঐ বৃক্ষের পাশে ,
কেমন নোংরা-রুক্ষ বালিকা তোমার দিকে চেয়ে আছে
উজ্জ্বল বড় বড় চোখে -
লোভী অথচ করুণ ,নিস্পলক ।
তার তামাটে সরু পা-গুলি, ঘা-অলা,
চোখের কোনায় শুকিয়ে থাকা জল,পিচুটি,
লম্বাটে মুখ,চেরা সিঁথি আর
শীর্ণ দেহ নিয়ে সে লুকিয়ে আছে লজ্জায়-
জামাটি তার ছোট এবং ছেঁড়া বলে।
কাগুজে গ্লাসটি রেখে দাও ,প্রিয়তমা।
আজ তোমাকে কতই না চমৎকার লাগছে!
দেখো, ফকিরনী মেয়েটির ঠোঁটে লালসা,
তোমার এলোমেলো করে রাখা
আধখাওয়া চিকেন ব্রোষ্ট-
সিমেন্টের মেঝেতে আচঁড় কাটছে সে
ক্ষুধাতুর অস্থিরতায়।
নোলা বাড়িয়ে সে অপেক্ষা করছে
কখন গিলবে সে তোমার ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট
পৃথিবীর সব গ্রন্থীল অনাচার।
আসলে ওর ঘুমপারানী গান তো আমাদের
ছুড়ে দেয়া কুকুরের হাড়।
This entry was posted
on ডিসেম্বর ১৮, ২০০৮
at ১০:৫৮ PM
and is filed under
কবিতা
. You can follow any responses to this entry through the
comments feed
.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন