মূল লেখার জন্য ক্লিক করুন
সামহয়্যারইন ব্লগে প্রকাশিত by বিষাক্ত মানুষ
Trzy słowa najdziwniejsze
Kiedy wymawiam słowo Przyszłość,
pierwsza sylaba odchodzi już do przeszłości.
Kiedy wymawiam słowo Cisza,
niszczę ją.
Kiedy wymawiam słowo Nic,
stwarzam coś, co nie mieści się w żadnym niebycie.
- Wisława Szymborska
লজ্জাবতী প্রিয়তমাকে
আমাদের থাকতো যদি অনিঃশেষ পরিসর ও অনন্ত সময়
তোমার এ লজ্জা, প্রিয়া, হতো না কিছুতেই দোষের বিষয়।
দু'জনে বসে বসে ভেবে ভেবে করতাম ঠিক
কিভাবে কাটাবো দীর্ঘ দিবস আর যাবো কোন্ দিক।
সুদূর ভারতে তুমি গঙ্গার তীরে তীরে হেঁটে
মুক্তো কুড়োতে যদি, হামবুরের থৈ থৈ তটে
আমি একা হতভাগ্য হাপিত্যেশে কাটাতাম দিন।
তবু বলি, তোমার জন্য আমার প্রেম অমলিন।
নুহের বন্যার আগে বছর দশেকেরও যদি হয়
তোমাকে বাসিবো ভালো, জেনো নিশ্চয়;
যদি চাও অস্বীকার করে যেও যতদিন খুশী
যদ্দিন ইহুদীরা ভিন্ন ধর্মে না হচ্ছে বিশ্বাসী।
আমার সবুজ প্রেম, সাম্রাজ্য কোন ছার, ঢের বৃহত্তর
এ প্রেম ক্রমশঃ বাড়ে, গাঢ় হয়, হোক না মন্থর।
কপালের রুপ দেখে, বন্দনা করে তোমার দু'চোখ ডাগর
জেনো বন্ধু, নির্ঘাৎ কাটাতে পারি একশো বছর।
আরো শ'দুয়েক বছর না হয় কাটিয়ে দিলাম স্তন বন্দনায়;
তিরিশ হাজার বছর অবশিষ্ট দেহ বর্ণানায়।
প্রতিটি অঙ্গের স্তবে বরাদ্দ করেছি প্রিয়া এক যুগ সময়
শেষ যুগে এসে যদি উন্মুক্ত করো তোমার পাষাণ হৃদয়।
এ সম্মান তোমারই প্রাপ্য- সব স্তব প্রশংসাকীর্ত্তন
তোমাকে যে ভালোবাসে তার কি হওয়া সাজে স্তুতিতে কৃপন।
কিন্তু প্রিয়ে, আমার পশ্চাতে যে নিত্যদিন শুনি
কালের ডানাওয়ালা রথচক্রের ধাবমান ধ্বনি।
যতোদূর চোখ যায় চেয়ে দেখো নিস্তব্ধ নিথর
শুয়ে আছে মহাকাল ঠিক যেন বালুকাপ্রান্তর।
তোমার এ রূপ প্রিয়ে থাকিবে না জেনো চিরকাল
মর্মর সমাধিতলে যখন ঘুমাবে তুমি, রূপের কাঙাল।
আমার প্রেমের গান পৌছাবে না তোমার কবর
সযত্নে রক্ষিত সব সতীপনা খেয়ে নেবে পোকা ও মাকড়।
তোমার মেকি আব্রু ,হায় নারী, ধুলো হবে সার
আমার কাম ও প্রেম জ্বলে পুড়ে হবে অঙ্গার।
কবর বড়োই স্নিগ্ধ, নিঃসন্দেহে বড়ো নিড়িবিলি,
তাই বলে কোন্ প্রিয় সেখানে প্রিয়াকে তার, করে কোলাকুলি?
অতএব যখন রয়েছে দেহে ঢলো ঢলো যৌবনমদির
সোনালী রুপালী রঙ ত্বক ছোঁয় ভোরের শিশির,
যখন তোমার প্রাণ কোষের প্রতিটি রন্ধ্রে ধরে
জাগ্রত কামনায় প্রতি মুহূর্তকে তোলে ভরে
এই তো মাহেন্দ্রসময়, দু'জনেই ভালোবাসা গড়ি
বিশ্ব জানিয়া রাখুক, প্রেমবিদ্ধ আমরা দুই শুক ও সারী।
সময় খাবে তো খাক্, দুঃখ নেই, সেই ঢের ভালো
তিলে তিলে অগস্ত্য যাত্রার কোন মানে আছে বলো?
চলো তবে আমাদের যা কিছু আছে সুন্দর শার্দুল
মিলেমিশে একাকার ব্রক্ষ্মান্ডে গড়িয়ে যাবো গোলক বর্তুল
লৌহ দড়জা খুলে জীবনের পথচলা করিয়াছি স্হির
কঠিন আঘাত হেনে চূর্ণবিচূর্ণ করবো আনন্দ শরীর,
কারো সাধ্যি নেই সূর্যকে থামিয়ে দেই দূরের আকাশে
নিশ্চয় ঘোরাতে পারি আমাদের গ্রহ পথে, সেটা কম কিসে।
(পুরোটা পড়ুন...)
মেঠোপথের সেই একফাঁলি চাঁদ ধরবো বলে,
খদ্দরের মোটা চাদরটি পড়ে বেড়িয়েছিলাম।
নিশুতি রাত অন্ধকারের আলোয়,
হিমে ভরা জোসনা,
ভেজা কুয়াশার মাঝে একে দেয় অনর্ব আকিঁবুকি।
নিশাচর কোন পাখীর করুন স্বর-
প্রিয়তমার জন্য কাঁদে।
বাঁশবনের ফাঁকে ফাঁকে বাতাসের গোঙানী,
অলস মেঘের আড়ালে একফাঁলি চাঁদটাকে ধরবো বলে,
আস্তিন গুটিয়ে বেড়িয়েছিলাম।
চারদিকে ছায়া নির্ঘুম,
অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে
হেমলক লতায় জড়ায় নিশাচর কুহক-
আটকে পড়ে যেন-
আলগ্ন সপ্তর্ষী বেদনায় নীল।
বিস্তীর্ন ফসলের মাঝে লুকিয়ে থাকে বৈরাগ-
অশরীরির মতো অশ্বথের পাতায় শিশির জমে থাকে
ঝড়ে যাবার অপেক্ষায়।
মেঘ যেমন চাঁদকে ঢেকে রাখে,
বস্তুও তেমনি আমাকে।
(পুরোটা পড়ুন...)
ঐ দিকে তাকাও সুন্দরী প্রিয়তমা,
ঐ বৃক্ষের পাশে ,
কেমন নোংরা-রুক্ষ বালিকা তোমার দিকে চেয়ে আছে
উজ্জ্বল বড় বড় চোখে -
লোভী অথচ করুণ ,নিস্পলক ।
তার তামাটে সরু পা-গুলি, ঘা-অলা,
চোখের কোনায় শুকিয়ে থাকা জল,পিচুটি,
লম্বাটে মুখ,চেরা সিঁথি আর
শীর্ণ দেহ নিয়ে সে লুকিয়ে আছে লজ্জায়-
জামাটি তার ছোট এবং ছেঁড়া বলে।
কাগুজে গ্লাসটি রেখে দাও ,প্রিয়তমা।
আজ তোমাকে কতই না চমৎকার লাগছে!
দেখো, ফকিরনী মেয়েটির ঠোঁটে লালসা,
তোমার এলোমেলো করে রাখা
আধখাওয়া চিকেন ব্রোষ্ট-
সিমেন্টের মেঝেতে আচঁড় কাটছে সে
ক্ষুধাতুর অস্থিরতায়।
নোলা বাড়িয়ে সে অপেক্ষা করছে
কখন গিলবে সে তোমার ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট
পৃথিবীর সব গ্রন্থীল অনাচার।
আসলে ওর ঘুমপারানী গান তো আমাদের
ছুড়ে দেয়া কুকুরের হাড়।
(পুরোটা পড়ুন...)
(বোরিং ক্লাসে বইয়া বইয়া ছুটুখাট মেলা কবিতা লিখছি….লিখা পাস করছি আশেপাশে…..ফ্রেন্ডরা কমেন্ট লিখা দিত…কবিতাগুলা সংরক্ষন করি নাইকা….ব্যাগের সাইড পকেটে অথবা মেকানিক্স খাতার পাতায় আছে হয়তো….তার একটা খুইজা পাইলাম…..কুনু ইডিটিং না কইরা তুইলা দিলাম)
(১)
ভেজা ভেজা মেঘের শীতে কুঁকড়ে থাকা
কুয়াশায় ডুবন্ত সকাল।
আমি যখন শিশির ভেজা শিউলি ফুল কুড়াই,
আমাকে সাহায্য করে দু’জন সর্দি ঝড়া পথবালিকা।
রাতজেগে চলা নির্ঘুম ট্রাক,
একটা-দুটো গেয়োঁ রিকশা শব্দে-নিঃশব্দে চলে যায়।
ছেড়া কাঁথার মতো পলিব্যাগ-
বালিকারা মুঠো ভরে আমার জন্য ফুল বয়ে নিয়ে আসে।
(২)
আজকের দিনটা তুলোর মতো,
ফুঁ দিলেই যেন বাতাসে হারায়।
তুমি যেন পিক আওয়ারের ব্যাস্ত নেটওর্য়াক।
আমার কলগুলো শুধু মিসকল হয়ে যায়।
(৩)
হালিম স্যারের ক্লাসে তোমায় নিয়ে কবিতা লিখি।
কবিতা তো নয়, যেন শুধু অনর্থক আকিঁবুকি।
মেশিনগানের সামনে তো কবিতা এফোঁর-ওফোঁড়।
দুর্বোধ্য লেকচার আর দুর্বোধ্য তুমি মিলে
হয়েছো চমৎকার মানিকজোড়
(পুরোটা পড়ুন...)
হাইনে (১৭৯৭-১৮৫৬) জার্মান ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। বিষাদময় রোমান্টিক কবি বলেই তাঁর সুখ্যাতি বেশি। কবিতার ভাষা রচনায় তিনি অত্যন্ত সরল। তাঁর লেখায় ইশ্বর প্রেম ও মানবপ্রেম উঠে এসেছে স্বমহিমায় কিন্তু অত্যন্ত সহজভাবে। কিছুটা রবীন্দ্রনাথের আদ্ধাত্বিক ও পূজা বিষয়ক গানের মতো। ধর্মে ইহুদী ছিলেন বলে আজীবন তাকে খ্রিষ্টান মৌলবাদীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। সমাজে সংখ্যালঘু হিসেবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়েছেন। জীবনের শেষ আট বছর যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেছেন। যক্ষার কথা জানতে পেরে বাড়িওয়ালা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। প্যারিসে মৃত্যুর পূর্বমূহুর্তে তাঁর মন্তব্য ছিলো..” ইশ্বর আমাকে ক্ষমা করবেন, কারন এটাই তার কাজ।”
আমার এই প্রিয় কবির কবিতার অনুবাদের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। যদি বাংলা ভাষায় হাইনের অনুবাদের কাব্যগ্রন্থ আছে কিনা আমার জানা নেই। আমি প্রতি বই মেলায় খুঁজি। আমার সেই পুরানা পেপার কাটিং হতে শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদের একটি অনুবাদ এখানে তুলে দিলাম।
তুমি হাতখানি রাখো
প্রিয়তমা, তুমি হাতখানি রাখো এই বুকে।
শুনতে পাচ্ছো কি শব্দ? কে যেন হাতুড়ি ঠুকে চলেছে?
সেখানে এক মিস্ত্রি থাকে, যে বানিয়ে চলেছে এক শবাধার।
কার জন্য জানো?- আমার আমার।
উল্লাসে বিদ্বেষে নিরন্তর সে হাতুড়ি ঠুকছে দুই হাতে,
কিছুতেই ঘুমোতে পারছি না আমি, দিনে আর রাতে।
মিস্ত্রি, দ্রুত করো, তুমি কাজ শেষ করো তাড়াতাড়ি,
যাতে আমি অবশেষে বিগ্নহীন ঘুম যেতে পারি।
অনুবাদ: হুমায়ুন আজাদ (পুরোটা পড়ুন...)
কখনো খেলাচ্ছলে, কখনো ভুলে
আনমনে লিখেছি তোমার নাম,
তারপর তাকে সাজিয়েছি,
তাকে লুকিয়েছি আমার বন্ধুদের নজর থেকে।
কখনো রাজপথ, শীতের ওম কুড়াতে,
প্রিয় চায়ের দোকানটার খোঁড়া বেন্চীতে বসে,
আনমনে ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে ভেবেছি
একা থাকা মাঝে মাঝে অসহ্য...
মাঝে মাঝে একজন সঙ্গিনীরও দরকার হয়,
ভাপা পিঠাটা ভাগাভাগি করে খাবার জন্য।
ধুলো পড়া কবিতার খাতায়,
আমার জমে থাকা কষ্টগুলো ঝেড়ে ফেলে
পরম মমতায় হাত বুলাই।
তোমাকে নিয়ে লেখা প্রেমের কবিতাগুলো সবাই পড়লো-
কই, তুমি তো পড়ে দেখলে না।
রাত ১০:৩০
ডিসেম্বর ছয়
(অনেক দিন কবিতা লিখি না....আমার কাছে কবিতা লেখা মানে অবশেষে নিজের কাছে ফিরে আসা)
(পুরোটা পড়ুন...)
এখানে দরজা ছিলো, দরজার ওপর মাধবী
লতার একান্ত শোভা। বারান্দার টব, সাইকেল
ছিলো তিন চাকা-অলা, সবুজ কথক একজন,
দাঁড়বন্দী। রান্নাঘর থেকে উঠতো রেশমী ধোঁয়া।
মখমল পায়ে কেউ, এঁটোকাঁটাজীবী, অন্ধকারে
রাখতো কখনো জ্বেলে এক জোড়া চোখ। ভোরবেলা
খবর কাগজে মগ্ন কে নীরব বিশ্ব-পর্যটক
অকস্মাৎ তাকাতেন কাকময় দেয়ালের দিকে।
ভাবতেন শৈশবের মাঠ, বল হারানোর খেদ
বাজতো নতুন হয়ে। মুহূর্তে মুহূর্তে শুধু বল
হারাতেই থাকে, কোন হুইসিল পারে না রুখতে।
ক্ষতির খাতায় হিজিবিজি অঙ্কগুলি নৃত্যপর।
এখানে দরজা ছিলো, দরজার উপরে মাধবী
লতার একান্ত শোভা। এখন কিছু নেই,
কিছু নেই। শুধু এক বেকুব দেয়াল শেল-খাওয়া
কেমন দাঁড়ানো, একা। কতিপয় কলঙ্কিত ইট
আছে পড়ে ইতস্তত। বাঁ-দিকে তাকালে ভাঙাচোড়া
একটি পুতুল পাবে, তা ছাড়া এখানে কিছু নেই।
ভস্মস্তুপে স্হির আমি, ধ্বংসচিহ্ন নিজেই বা।
ভস্ম নাড়ি জুতো দিয়ে, যদি ছাই থেকে অকস্মাৎ
জেগে উঠে অবিনাশী কোন পাখি, যদি দেখা যায়
কারুর হাসির ছটা, উন্মিলিত স্নেহ, ভালোবাসা।
(বিজয় দিবসে সকল মু্ক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং অংশগ্রহনকারী সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা..........)
(পুরোটা পড়ুন...)
আর এস এস ফিড
রুবাইয়াতে ওমর খৈয়াম
প্রিয় সাকি, তাহার সাথে দিও একখানি বই কবিতার,
জীর্ণ আমার জীবন জুড়ে রইবে প্রিয়া আমার সাথ,
এই যদি পাই চাইব না কো তখত্ আমি শাহানশার!
আত্মকথা
- নকীব
- আমি খুব সাধারন একটা ছেলে....স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি..আসলে স্বপ্ন দেখি বলেই বেঁচে আছি...আমার মনের ভাবনাগুলোকে প্রকাশ করার জন্যই এই আয়োজন....মূলত কবিতা লিখি..গান শুনতে ভালো লাগে...প্রচুর গান শুনি...বই পড়ি..মুভি দেখি..জীবনটাকে সবসময় উপভোগ করা চেষ্টা করি। নাকি জীবনই আমাকে উপভোগ করে বুঝতে পারি না।
যা ইচ্ছে লেখার কবিতার খাতা
আমার ব্লগ তালিকা
-
বুয়েটিয়ান স্মৃতি-৩ - *নিউটন রিং গোল কেন:* ওয়ান ওয়ানে ফিজিক্স সেসনাল। রাফিন স্যার প্রতিদিনই আমাদের ধোয়। আমাকে তো আরো বেশি কারন আমি স্যারের কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারি না। এর...